ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কি কি আর ডায়াবেটিস কেন হয় দেখে নিন ।


ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কি কি
ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কি কি 
                         



ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কি কি আর ডায়াবেটিস কেন হয় দেখে নিন ।

ডায়াবেটিকস হচ্ছে একটি নীরব ঘাতক উপর থেকে আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা কিন্তু ভিতরে ভিতরে এটা আপনাকে শেষ করে দিবে।

আমরা অনেকেই মনে করি যে ডাইবেটিক্স তেমন বড কোন ওষুক না কিন্তু আমরা এটা ভুল জানি। ডাইবেটিক্স হচ্ছে একটি নিরব খাধক যা আপনাকে আস্তে আস্তে শেষ করে দিবে। তাই আমাদের ডাইবেটিক্স নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই, আমরা কেউই চাই না যে আমরা অসুস্থ হই।

ডায়াবেটিস কিঃ আমাদের শরীরে পেটের ঠিক উপরের অংশে অগ্নাশয় নামক একটি ছোট্ট গ্রন্থি আছে দেখতে অনেকটা পাতার মত। এই অগ্নাশয় থেকে একটি রস নিঃসৃত হয় যাকে আমরা ইনসুলিন বলে। ইনসুলিন হচ্ছে একটি হরমোন। যা আমাদের সাভাবিক ভাবে চলাচলের জন্য খুবই জরুরী।

আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি এগুলো হজম এরপর আমাদের রক্তে চলে যায় এবং রক্তে চিনি বা গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিনের কাজ হচ্ছে এই চিনি বা গ্লুকোজ কে শরীরের বিভিন্ন অংশে নিয়ে যাওয়া শক্তি বা ক্যালরি উৎপন্ন করার জন্য। যদি কোনো কারণে এই ইনসুলিন অকার্যকর হয়ে যায়। তখন রক্তে চিনি বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় কারণ শরীরে ঠিক মত ইনসুলিন কাজ করতে পারে না এজন্যই ডায়াবেটিস হয়।


ডায়াবেটিস কেন হয়ঃ যখন আমাদের শরীরের স্থূলতা বেড়ে যায়, দেখা যাচ্ছে মেদ বা ভুঁড়ি বেড়ে যায় চর্বি জমে তখন ইনসুলিন তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।,যেমন, আমরা যে খাবার খাই তার থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়।

সে শক্তি আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি দৈনন্দিন জীবনে। যখন আমাদের খাবারের তুলনায় স্বাভাবিক শক্তি খরচ কমে যায় তখন খাবারগুলো পেটের চর্বি আকারে বাড়তে থাকে ফলে ইনসুলিন তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং রক্তে চিনি বা ব্লগের মাত্রা বেড়ে যায় তার কারনে ডায়াবেটিস হয়।




ডায়াবেটিস লক্ষনঃ
১, ঘন ঘন প্রস্রাব,
২,হঠাৎ ওজন হ্রাস,
৩, অতিরিক্ত ক্ষুধা,
৪,কোথাও কেটে গেলে সহজে ভাল হচ্ছে না হওয়া।

ডায়াবেটিস প্রতিকারঃ

১,ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ আমাদের ওজন সব সময় একটা নিয়মে রাখতে হিবে। বাডতে দেয়া চলবে না।

২,খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করাঃ আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের মনে রাখতে হবে কোন কোন খাবার খেলে আমাদের স্থুলতা বেড়ে যায়

তা পরিহার করতে হবে। অবশ্যই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যদি বেশি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে মাসে একদিন বা দুইদিন খেতে পারেন। তবে শাকসবজি ফলমূল,মাছ মাংস, সালাড ইত্যাদি বেশি বেশি করে খেতে হবে।


৩, নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম,হাটা হাটির অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট হাঁটতে অভ্যাস করতে হবে। ব্যায়াম কিরলে সরিল ভালো থাকে।

আমরা যদি নিয়ম মেনে প্রতিদিন বেয়াম করি, হাটা হাটি করি তাহলে আমারা ডাইবেটিক্স থেকে বাচতে পারবো। আমাদের খাবের প্রতি ও খেয়াল রাখা লাগবে। আমরা অনেকেই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বা মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক বেশি পচন্দ করি। মনে রাখবেন এসব খাবার ডাইবেটিক্স জন্য খুবই খারাপ।


Post a Comment

0 Comments